গঠনতন্ত্র


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম  

ঝিনুক 
(একটি স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ সংস্থা )

১ম ভাগঃ সংগঠনের পরিচিতি 

 ১। সংগঠনের ধরণঃ

লক্ষীপুর ছাত্র কল্যাণ সংগঠন - "ঝিনুক" একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সামাজিক শিক্ষানুরাগী সংগঠন।


 ২। সংগঠনের লোগো  বিবরণঃ 

আমাদের রয়েছে ৪ টি হাত দ্বারা বেষ্টিত বৃত্তাকার আকৃতির একটি লোগো যার মধ্যে একটি নদী ও একটি গাছের প্রতীক বিদ্যমান নদীটি আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা  "চিত্রা" এবং গাছটি শত-বর্ষের সাক্ষী ঐতিহ্যবাহী বট গাছের  প্রতীকীরূপে ব্যবহৃত হয়েছে  বৃত্তাকার হাতের বন্ধন দ্বারা আমাদের সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও ভাতৃত্বের বন্ধন প্রকাশ পেয়েছে 

৩। সংগঠনের লক্ষ ও উদ্দেশ্যঃ

(ক) লক্ষীপুর ও লক্ষীপুর কেন্দ্রিক অঞ্চলগুলোর বর্তমান ছাত্র/ছাত্রীদের অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাময় গুণাবলী বিকাশের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা ও তাদের নৈতিক মূল্যবোধ,দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখা।

(খ) সৃষ্টিশীল,সামাজিক মানুষ ও সুনাগরিক সৃষ্টির লক্ষে স্কুল-কলেজে বিভিন্ন কর্মশালা যেমন- বিতর্ক, কুইজ, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিনামূল্যে তথ্য সেবা ও সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন।

(গ) লক্ষীপুরের ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শ্রেণীর মানুষের যে কোন প্রয়োজনে/বিপদে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। বিশেষ করে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য গাইডলাইন সুনিশ্চিত করা।

(ঘ) এলাকার মানুষদের যেকোনো উন্নয়নমুখী ও সৃজনশীল  কাজে সংবর্ধনা প্রদান করা।


 ২য় ভাগঃ সদস্যপদ সংক্রান্ত।

৪। সদস্য পদ লাভঃ

(ক) লক্ষীপুর গ্রামের সে সকল  ছাত্র ছাত্রী যারা অন্ততপক্ষে একাদশ শ্রেনীতে অধ্যায়নরত আছেন তারা, সংগঠনের অন্যান্য শর্তাবলি পূরণ সাপেক্ষে সদস্য হতে পারবেন।

(খ) নির্ধারিত ফরম পূরণপূূর্বক সদস্য হতে হবে।

(গ) একজন সদস্য যে কোনো ধর্মাবলম্বী হতে পারবে, তবে মুক্তমনা অথবা নাস্তিক হতে পারবে না।

(ঘ) সদস্য দের বয়স সীমা ১৬ থেকে ৩০ হতে হবে।

(ঙ) ছাত্রত্ব শেষ হউয়া চাকুরী প্রত্যাশি অথবা সদ্য চাকুরী প্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রী রাও সংগঠনের স্বার্থে সদস্য হতে পারবেন। কিন্তু এই বেপারে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তইই চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

৫। সদস্য পদ বাতিলঃ

(ক) কোন সদস্যের বিরুদ্ধে দেশ কিংবা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোন কাজ প্রমাণিত হলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে।

(খ) সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও আর্থিক ক্ষতির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সদস্যপদ বাতিল হতে পারে।

(গ) সকল ক্ষেত্রেই কার্যকরী পরিষদের সর্বসম্মতি/ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

৬। পদ হতে ইস্তফাঃ

(ক) কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্য অথবা যে কোন সাধারন সদস্যও ইস্তফা দিলে অবশ্যই তার কারন উল্লেখ করে সভাপতি বরাবর পেশ করতে হবে।

(খ) সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সর্বসম্মতি ক্রমে সদস্যের পদত্যাগ পত্র গ্রহন কিংবা বাতিল করতে পারবেন। অবশ্য উপদেষ্টা পরিষদের ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটলে উপদেষ্টা পরিষদ নিজেই তার সমাধান করবে।


৩য় ভাগঃ সাংগঠনিক কাঠামো

৭।  সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো হবে ৪ স্তরের, যথাঃ

(ক) সাধারন পরিষদ
(খ) কার্যকরী পরিষদ
(গ) উপদেষ্টা পরিষদ
(ঘ) কার্যকরী উপদেষ্টা পরিষদ

৮। পরিষদ সমূহের কার্যাবলীর বিবরণঃ

(ক) সাধারন পরিষদ : অত্র সংগঠনের সকল সদস্যদের নিয়েই সাধারন পরিষদ গঠিত হবে।

(খ)কার্যকরী পরিষদ : সংগঠনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ৩০ জন সদস্যের কার্যকরী কমিটি থাকবে। (প্রয়োজনে পদের সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারবে)
কমিটির মেয়াদকাল হবে ০১ বছর।

(গ) উপদেষ্টা পরিষদ : প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের সম্মানিত সদস্য থেকে বর্তমান কমিটির বাইরে থাকা (সিনিয়র) ব্যাচসমূহের সকল সদস্যই প্রটোকল এর ভিত্তিতে উপদেষ্টা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

(ঘ) কার্যকরী উপদেষ্টা পরিষদঃ সদ্য সাবেক হওয়া সভাপতিকে পদাধিকার বলে সংযুক্ত করে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা নিজেদের মধ্য হতে সর্বোচ্চ ৬ জন কে কার্যকরী উপদেষ্টা পরিষদের জন্য মনোনীত করবে,যাঁরা কিনা কার্যকরী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করবে।

(ঙ) কার্যকরী পরিষদের সভাপতি অবশ্যই কার্যকরী উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।
কার্যকরী উপদেষ্টা পরিষদের মেয়াদও ০১ বছর।

৯। কমিটি কাঠামোঃ

সভাপতি ০১ জন
সহ সভাপতি ০১ জন
সাধারন সম্পাদক ০১ জন
যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ০৩ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক ০১ জন
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ০৩ জন
কোষাধ্যক্ষ ০১ জন
সহ কোষাধ্যক্ষ ০২ জন
প্রচার, প্রকাশনা ও গণসংযোগ সম্পাদক ০১ জন
সহ প্রচার, প্রকাশনা ও গণসংযোগ সম্পাদক ০৩ জন
শিক্ষা সম্পাদক ০১ জন (Admission & All)
শিক্ষা বিষয়ক সহ সম্পাদক ০৪ জন (PSC,JSC,SSC,HSC)
দপ্তর সম্পাদক ০১ জন
সহ দপ্তর সম্পাদক ০১ জন
স্বাস্থ্য সম্পাদক ০১ জন
স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ সম্পাদক ০১ জন
উপবৃত্তি  ও সহায়তা বিষয়ক সম্পাদক ০১ জন
ক্রীড়া সম্পাদক ০১ জন
সহ ক্রীড়া সম্পাদক ০১ জন
সাংস্কৃতিক সম্পাদক ০১জন

 ১০। কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের ক্ষমতা ও দায়িত্বাবলীঃ

(ক) সভাপতিঃ তিনি সংগঠনের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হবেন । তিনি সকল সভার সভাপতিত্ব করবেন এবং সভা পরিচালনার সম্পূর্ণ ক্ষমতা তার উপর ন্যস্ত থাকবে । এছাড়া তিনি সাধারণ পরিষদের সভারও সভাপতিত্ব করবেন । বিশেষ জরুরি অবস্থায়, সাধারণ সম্পাদক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সভা আহ্বান না করলে তিনি তা আহ্বান করতে পারবেন। সভার প্রয়োজনীয় খরচ বাবদ সভাপতি বাজেট অনুমোদন করতে পারবেন ।

(খ) সহ সভাপতিঃ সহ সভাপতি,সভাপতিকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করবেন, তাঁর অবর্তমানে তিনি সভাপতির স্থলাভিষিক্ত হয়ে তাঁর কাজ চালাতে পারবেন । সহ সভাপতি,  সভাপতিকে সহযোগিতা করবেন।দুজনেরই অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন কার্যকরী উপদেষ্টা পরিষদ হতে মনোনীত কেও।

(গ) সাধারণ সম্পাদকঃ সভাপতির সঙ্গে আলোচনাক্রমে তিনি সংগঠনের সকল সভা আহ্বান করবেন এবং সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন । সংগঠনের স্বার্থ সংরক্ষণের দায়িত্ব ও প্রশাসনিক কার্যভার তার উপর ন্যস্ত থাকবে এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বও তাঁকে পালন করতে হবে।  সংগঠনের নথিপত্র ও সম্পদ তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকবে এবং এ ব্যাপারে তিনি একটি রেজিস্টার খাতা রাখবেন।  সভাপতির সাক্ষর থাকবে । তিনি বছরের কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং তা কার্যকরী পরিষদেও অনুমোদনক্রমে, তা বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করবেন ।

(গ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকঃ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (ক্রমানুসারে) তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন এবং সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতি বা অবর্তমানে যুগ্ম সাধাররণ সম্পাদক তাঁর সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেন । 

(ঘ) সাংগঠনিক সম্পাদকঃ সংগঠনের যাবতীয় প্রোগ্রাম অ্যারেন্জমেন্টে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা। 

(ঙ) সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদকঃ সাংগঠনিক সম্পাদককে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন এবং তাঁর অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করবেন ।

(চ) কোষাধ্যক্ষ/ অর্থ সম্পাদকঃ তিনি সংগঠনের তহবিল রক্ষণাবেক্ষণ করবেন এবং বার্ষিক হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন । কার্যকরী পরিষদ ও সংগঠনের বার্ষিকসভায় নিরীক্ষ বার্ষিক আয় – ব্যয়ের হিসাব পেশ করবেন । 

(ছ) সহঃ কোষাধ্যক্ষ/ অর্থ সম্পাদকঃ অর্থ সম্পাদককে সহযোগিতা করবেন এবং তাঁর অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করবেন ।

(জ) দপ্তর সম্পাদকঃ তিনি সংগঠন সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র, সিলমোহর বহি, প্যাডসহ অন্যান্য দাপ্তরিক উপকরণ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করিবেন । সংগঠনের নোটিশপত্র, চিঠিপত্র, অাবেদনপত্র সঠিক সময়ের মধ্যে সকল জায়গায় প্রেরণের ব্যবস্থা করবেন । এবং কার্যকরী কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত অন্য যে কোন দায়িত্ব পালনেও বাধ্য থাকবেন ।

(ঝ) শিক্ষা সম্পাদকঃ এটি সংগঠনের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পদ হিসেবে বিবেচিত, কারণ এটি একটি শিক্ষামূলক সংগঠন। শিক্ষা সম্পাদক গ্রামের সকল ছাত্রছাত্রীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে তা সংরক্ষণ করবেন। এবং বার্ষিক সভায় তা প্রতিবেদন রুপে পেশ করবেন। কোন শিক্ষার্থী কে সংবর্ধনা ও আর্থিক সহ্যোগিতার ব্যবস্থা করবেন, এবং এ বেপারে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক  তাকে সাহায্য  করবেন। ছাত্র ছাত্রীদের সাথে সংগঠনের যোগাযোগ স্থাপন করবেন। এবং ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় গাইডলাইন প্রদান করবেন। ভর্তি পরীক্ষার্থী দের সার্বিক সহায়তা প্রদান করবেন।

(ঞ) সহ শিক্ষা সম্পাদকঃ সহ শিক্ষা সম্পাদক দের উপর ন্যাস্ত দায়ীত্ব পালনের মাধ্যমে সহ সম্পাদক শিক্ষা সম্পদক কে স্যাহায্য করবেন।

(ট) সাস্থ বিষয়ক সম্পাদকঃ গ্রামের সকল ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের সাস্থ সেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবেন। অসহায় দরিদ্র মানুষ কে সল্প খরচে সুচিকিৎসা পেতে উপদেশ দিবে। তবে সাস্থ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সবসময়ই মেডিকেল স্টুডেন্টস রা অগ্রাধিকার প্রাপ্ত হবেন। এক্ষেত্রে যেকোনো শর্ত শীথিল যোগ্য।

(ট) প্রচার, প্রকাশনা ও গণসংযোগ সম্পাদকঃ তিনি সভাপতি / সাধারন সম্পাদকের নির্দেশনানুযায়ী ও কমিটির সিধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের কার্যক্রম প্রচার ও প্রসারের জন্য বিভিন্ন বাক্তি, দাতা-গোষ্ঠী ও বিভিন্ন অনলাইন-অফলাইন প্রচার মাধমের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। এছাড়া বার্ষিক প্রকাশনা/ সু্ভেন্যুর তৈরি / ম্যাগাজিন প্রকাশনা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও দায়িত্ব পালন করবেন।

(ঠ) উপবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদকঃ শিক্ষা সম্পাদকের পরামর্শে গরীব ও মমেধাবী ছাত্রদের বা দুর্বিপাকে অসহায় মানুষকে সহযোগিতা ও জানমাল রক্ষা করার মানসে উত্তোলিত টাকা, সাহায্য, দান বস্ত্র ইত্যাদি সমন্বয় সাধন ও বিলি বণ্টনের ক্ষেত্রে সঠিক দায়িত্ব পালন করবেন ।

(ড) ক্রীড়া সম্পাদকঃ ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজনের ব্যাপারে সমুদয় বাবস্থা গ্রহণ করবেন । 

(ঢ) সহঃ ক্রীড়া সম্পাদকঃ ক্রীড়া সম্পাদককে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন এবং তাঁর অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করবেন ।

(ণ) সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের ব্যাপারে সমুদয় বাবস্থা গ্রহণ করবেন । 

(ত) সদস্যঃ সভাপতির পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে এবং কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের সকল কাজে অংশ গ্রহণ করবেন । সদস্যগণ সংগঠনের কার্যকরী ও সাধারন পরিষদের সভায় উপস্থিত সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনে তাদের মতামত প্রদান করবেন । সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল ও গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক তাদের উপর অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন। 


৪র্থ ভাগঃ সভা ও নির্বাচন


১১। সভার বিবরণঃ
(ক) বার্ষিক সাধারণ সভাঃ প্রতিবছর ঈদ-উল-ফিতরেরর ছুটিতে লক্ষীপুর কলেজ মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে । সাধারণ সম্পাদক সভাপতির অনুমোদনক্রমে জরুরি নোটিশে বার্ষিক বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করবেন । এ সভায় নতুন মেয়াদে কার্যকরী পরিষদ ও কার্যকরী উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে। 

(খ) কার্যকরী পরিষদ সভাঃ সাধারণ সম্পাদক, সভাপতির সাথে পরামর্শ করে সভার আলোচ্য সূচি, তারিখ, সময় ও স্থান নির্ধারণ করবেন । সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) দিন আগে নোটিশ দিয়ে সাধারণ সম্পাদক যে কোন সময় পরিষদের সভা আহ্বান করবেন । 

(গ) সাধারণ সভাঃ সময়, সুযোগ বুঝে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।সাধারণ সম্পাদক সভা অাহবান করবেন।

১২। কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনঃ

(ক) কার্যকরী উপদেষ্টা পরিষদের তত্ত্বাবধানে একটি অস্থায়ী নির্বাচন কমিটি গঠন করে সদস্য সমুহের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবে।

(খ) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কার্যকরী উপদেষ্টা পরিষদের পরামর্শ ক্রমে পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন।

(গ) যেকোনো সদস্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য পার্থী হতে পারবে।

(ঘ) একজন সদস্য একই সাথে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মনোনয়ন পেতে পারবে। তবে যদি দুটি পদেই একই ব্যাক্তি জয়লাভ করে তবে, উক্ত ব্যক্তির পছন্দের পদটি তাকে দেয়া হবে। এবং অন্য পদের জন্য দ্বিতীয় ব্যক্তি সয়ংক্রিয় ভাবে নির্বাচিত হয়ে যাবে। 

(ঙ) নির্বাচন প্রক্রিয়া সচ্ছ হতে হবে, এবং তা ব্যালটের মাধ্যমে হতে হবে। 
(চ) কোনো পদের বিপরীতে একের অধিক প্রার্থী না পাওয়া গেলে তিনিই বিনা ভোটে নির্বাচিত হবে, কিন্তু কার্যকরী পরিষদ চাইলে যে কোনো সদস্য কে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিবে। এবং ঐ সদস্য তা মেনে নিতে বাধ্য থাকবে।


৫ম ভাগঃ গঠনতন্ত্র সংশোধন

১৩। গঠনতন্ত্র সংশোধনঃ

(ক) গঠনতন্ত্রে বর্ণিত কোনো ধারা সংশোধন,  সংক্ষেপন অথবা পরিমার্জনের জন্য কার্যকরী উপদেষ্টা পরিষদ কারণ দর্শিয়ে সদস্যদের হ্যা/না ভোট গ্রহণ করবেন।

(খ) বিশেষ পরিস্থিতি তে কার্যকরী উপদেষ্টা পরিষদ গঠনতন্ত্রের কোনো ধারা অস্থায়ী ভাবে সংশোধন ও সংযোজন করার ক্ষমতা সংরক্ষন করে। 

No comments:

Post a Comment

গঠনতন্ত্র